মুসলিম আইনস্টাইনঃ ইতিহাসের প্রথম বিজ্ঞানী



“আচ্ছা তারিক, তোর ফেসবুক আইডির নাম Tarik Tariq ক্যান রে?”

বসে আছি সিনানের বাড়ির ছাদের উপর। কোন এক রিসার্চ পেপার পড়ছিল, আমাদের পাঠিয়ে দিয়ে বলল ইকটু পরে আসবে।

“আসলে…বানানটা Tarik হবে নাকি Tariq হবে সে ব্যাপারে নিশ্চিত ছিলাম না বলে দুটোই লেখে দিয়েছি!”

গরমের মধ্যে তারিকের নরম জোকে মজা পেলাম না। বাতাসও নাই তেমন, কাক কতগুলো চ্যাচাচ্ছে। অবশেষে দেখলাম সিনান আসছে, হাতে ছোট একটা নোটবুক।

সিনানের এরকম অনেক নোটবুক আছে। অনেক বেশি ঘাটাঘাটি করে, চিন্তাভাবনা করে। যখন সেরা কিছু পায় বা চরম কোন আইডিয়া আসে মাথায়, কোন এক ছোট নোটবুকে লেখে রাখে। হামিদ আল-দ্বীন আল-ফারাহী মতন। বাকি, আশা করি সে নিজের জীবনের কাজ সমাপ্ত করে যেতে পারবে।

“এসেছিস তাহলে? তাড়াতাড়ি কর! ইবন আল-হাইসাম এর ব্যাপারে ফ্যাক্টগুলো জানার খুব ইচ্ছা হচ্ছে।”

বলতে শুরু করলো সিনান, “হাসান ইবন আল-হাইসাম খুব জনপ্রিয় বিজ্ঞানী।” তারিক জিজ্ঞেস করল, “এই জনপ্রিয়তার কারণ কী?”

“কারণ তো أَخِي, একটু পরই জানতে পারবি…

তো, মুহাম্মাদ আল-খাওয়ারিযমী মারা গিয়েছেন অনেকদিন হলো। লোকে ভেবে বসে আছে যে, তার থেকে ভাল বিজ্ঞানী আসা সম্ভব না। কিন্তু এক ছেলে এসে সব উড়িয়ে দিলো। রজার বেকন, লিওনার্দো দা ভিঞ্চি, কেপলার, উইটেলো, কাভালিয়েরি, লিউয়েনহয়েক, দেকার্ত, কোপারনিকাস, গ্যালিলেও সবার উপর এনার প্রভাব পড়েছে[১]। আরে, তার অপটিক্সের বইগুলো তো পশ্চিমের বিজ্ঞানীদের টেক্সট বুক থেকেছে বহু বছর। তার ব্রেইনকে অনেকে আইনস্টাইনের ব্রেইনের সাথে তুলনা করেন[২]। সত্যি বলতে এই হাসান ইবনুল হাইসাম ইতিহাসের প্রথম বিজ্ঞানী।”

“ইতিহাসের প্রথম বিজ্ঞানী?!” তারিক ধাক্কা খেল।

“হুম। তিনিই আসল পরীক্ষামূলক বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির জনক।[৩] আমাদের ফিজিক্স বইয়ে তো রজার বেকনের নাম লেখা। আসলে সব জায়গায় তার নাম থাকে। একদম ভুল। রজার বেকন সর্বপ্রথম এটি ইউরোপে আনেন, ইতিহাসে না। তারপর আবার তার এটার উপর নিজের প্র্যাকটিস রঙ চড়িয়ে বলা হয়েছে।[২৯] এই বিকৃত, biased ইতিহাসটা দেখলেই মাথা গরম হয়ে যায়! মুসলিমদের মধ্যে ইবন আল-হাইসামই প্রথম গ্রিকদেরকে পুরাপুরি রিজেক্ট করেন।[৪] প্রত্যেকটা বৈজ্ঞানিক কাজকে কঠোরভাবে পরীক্ষা করার কাজ ইবনুল হাইসামই প্রথম করেন। এর আগে অনেক গ্রিক এ ব্যাপারে জানত, তবে তারা তা প্র্যাকটিস করত না। নিজের মত কীভাবে প্রমাণ করতে হবে, সবাই এটা নিয়েই ব্যস্ত ছিল। ইবন আল-হাইসাম এর আগে আসলে ‘বিজ্ঞান’ বলে কিছু ছিল না। সেটি ছিল ফিলসফির অংশ। আসলে ১৯শতক পর্যন্ত এমনই ছিল। অনেক ইতিহাসবিদ প্রাচীন বিজ্ঞান আর দর্শনকে একই ধরতে পছন্দ করেন। আবার রজার বেকন বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির কৃতিত্ব ইবন আল-হাইসামকে না দিয়ে দিয়েছেন পিটার পেরেগ্রিনাসকে। এর অবশ্য কারণ ছিল। ইবন আল-হাইসামকে কৃতিত্ব দিলে খৃষ্টান সমাজে গ্রহণযোগ্যতা হারানোর সম্ভাবনা ছিল।[৩০] রজার বেকনের চরিত্রে দোষ দেখছি না। আরবি আর আরবি বিজ্ঞানের জ্ঞানকে তো তিনি সত্য জ্ঞানের একমাত্র পথ বলে মেনেই নিয়েছেন।[৩১][৩২]

“আচ্ছা, আচ্ছা, বুঝেছি।” আমি তাড়া দিলাম, “এবার কাজের আলাপে ঢোক।”

তারিক মুখ ঝামটা মেরে বলল, “তো এতক্ষণ কি আকামের কথা হয়েছে নাকি?”

“আরে কাজের কথা মানে ইবনুল হাইসামের কাজকর্মের কথা বুঝিয়েছি।”

সিনান আমাদের থামিয়ে দিয়ে বলল, “আরে আসছি তো ওই আলোচনায়। তবে আরেকটা কোথা শোন। অনেকে দেখবি বলবে, ‘ইবন আল-হায়সাম প্রবক্তা, তবে জনক দেকার্ত, গ্যালিলেও ও ফ্রান্সিস বেকন। কিন্তু এই কথাটাও ভুল। দেকার্ত আর ফ্রান্সিস বেকন ১৭শ শতাব্দীতে যা বলেন, ইবন আল-হাইসাম তা আরও অনেক আগেই করে দিয়ে গিয়েছিলেন। ইবন আল-হাইসামের বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি, যেখানে তিনি অত্যন্ত গভির ও সূক্ষ্মভাবে পর্যবেক্ষণ করতেন, যে প্রক্রিয়ায় তিনি গবেষণা করতেন, তা সন্দেহাতীতভাবে আধুনিক পরীক্ষামূলক বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির প্রথম চিহ্ন এবং পরবর্তীতে গ্যালিলিও, দেকার্ত আর ফ্রান্সিস বেকন যা প্রতিষ্ঠা করেন তা-ই। এজন্য, বিভিন্ন স্কলার মত প্রকাশ করেছেন যে ইবন আল-হাইসামের ‘বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির জনক’ খেতাব পাওয়ার অধিকার বেশি।[২৮][৩৬]

“ওফ! জিনিয়াস”

“আমাকে বললি নাকি…”

“তোর মত গরিবকে কে বলবে…সামনে যা!”

“ইবন আল-হাইসাম অপটিক্স আর চোখের গঠনসংক্রান্ত বিজ্ঞানকে আলাদা করে দেখেছেন। তিনি উদ্ঘাটিত করেন কিভাবে আমরা দেখি।[৫] দিগন্তে চাঁদ-সূর্যকে বড় কেন দেখায়, তার সমাধান বের করেন। এটা আসলে আমাদের মস্তিষ্কের ভ্রম।[৬]। ট্রপস্ফিয়ারের দূরত্ব নির্ণয় করেছেন সমুদ্র সমতল থেকে ১৬ কিলোমিটার। আধুনিক হিসাবে যদিও গড়ে ১৩ কিলোমিটার। বাট স্টিল, আধুনিক যন্ত্রপাতি ছাড়া এত দূর আসাও বা কম কী? সূর্য দিগন্তের ১৯ ডিগ্রি নিচে থাকা অবস্থায় টোয়াইলাইট হয়, এটা ঐ সময়ে তার গবেষণা মত। [৩৩] ইতিহাসে এসব উল্লিখিত বিষয়সমূহের প্রথম হিসাব।[৩৪]

“টোয়াইলাইট সিরিজ তো এই কয়েক বছর আগের মুভি।” আমি বললাম।

“উফ!” তারিক বলল, “টোয়াইলাইট মানে গোধূলি, গোধূলি! এখন আবার বলিস না গোধূলি কত সালের মুভি।”

সিনান অধৈর্য হয়ে বলল, “আহ! বারবার প্রসঙ্গ ঘোরাস কেন? ফিজিক্স বইয়ে ঢুকি, চল। প্রতিসরণের অধ্যায়ে স্নেলের নাম দেওয়া আছে না প্রতিসরণের দ্বিতীয় সূত্রের জন্য? আসলে ইবন আল-হাইসাম প্রায় এটা আবিষ্কার করেই ফেলেছিলেন। কর্ড ব্যবহার না করে ত্রিকোণমিতি ব্যবহার করলেই তিনি পেরে যেতেন।[৭] তবে তার আগে ইবন সাহল এটি প্রমাণ করাতে সফল হয়েছিলেন। ইংলিশ ফিজিসিস্ট জিম আল-খালিলীর মতে, স্নেলের সূত্রকে ইবন সাহলের সূত্র বলা উচিত।[৩৩] ২০১৮ সালের নতুন বইয়ে আবার ফ্রেনেলের নাম এসেছে। যাহোক, ইবন আল-হাইসাম থেকে যে প্রতিসরণ আর প্রতিফলন দুটিরই নিয়ম এসেছে, তার জন্য তো তাকে সম্মান দেওয়া হলো না। আলো সরল পথে চলার ধারণা তো প্রতিষ্ঠিত করেছেনই,[৮] প্রতিফলনের সূত্রদুটো আর প্রতিসরণের প্রথম সূত্রও দিয়েছেন, ইভেন দ্বিতীয়টাও প্রায় প্রতিষ্ঠিত করেই ফেলেছিলেন।[৯][১০] প্রতিসরণের অন্যান্য মৌলিক জিনিস তো আছেই। যেমন বায়ু, পানি, কাঁচ ইত্যাদি বিভিন্ন মাধ্যমে আলোর গতির কারণে কীভাবে প্রতিসরণ হয়, তা বের করেন।[১১] ক্যামেরা অবসকিউরা নিয়ে ইবন আল হাইসামের অসাধারণ কাজের কথা তো লাইব্রেরিয়ানের মুখ থেকেই শুনেছিলাম। লিউয়েনহোয়েকের মাইক্রোস্কোপ আর গ্যালিলেওর টেলিস্কোপ বানানোর পথ তিনি তৈরি করে দেন ইবন আল-হায়সাম।[১৫] এত কিছুর পরেও আলোর অধ্যায়গুলোতে তার নাম দেওয়া হল না! কাজটা কি ঠিক হলো?”

“আলবৎ না!” আমি বললাম।

“চল আলো ছেড়ে এগিয়ে যাই, তিনি কোট্যানজেন্টের সূত্র দেন,[১২] ক্যালকুলাসের ভিত্তি প্রতিষ্ঠা করেন।[১৬] মিল্কি ওয়ে গ্যালেক্সি পর্যবেক্ষণ করে তিনি মত দেন যে এটা বায়ুমণ্ডলের চেয়ে অনেক দূরে।[১৩] গ্র্যাভিটি সম্পর্কেও জানতেন।[১৪] আসলে তিনি একা না, আরও কিছু মুসলিম বিজ্ঞানী মহাকর্ষ নিয়ে লেখালেখি করেন। ইবন আল-হাইসাম এক ভরের বস্তু দিয়ে অন্য ভরের বস্তুকে আকর্ষণের ব্যাপারটি লেখেন। মানে মহাবিশ্বের প্রত্যেক বস্তু আরেক বস্তুকে আকর্ষণ করার ওই সূত্র আরকি।”

“হুম, বুঝতে পেরেছি।” তারিকের জবাব।

সিনান মুখে মুচকি হাসি রেখে বলতে থাকল, “তো, যেসব জিনিস ইবন আল-হাইসাম করে ফেলেছিলেন, কিন্তু তার অনেক পরে অন্যান্য বিজ্ঞানীরা তা করেন এবং সেসব তাদের নামে প্রতিষ্ঠিত হয়ে যায়, তন্মধ্যে কয়েকটিঃ Wilson’s Theorem[১৭], Principle of Inertia — নিউটনের গতির প্রথম সূত্র[১৮], Fermat’s Principle of Least Time[১৯], Ruffini-Horner algorithm[২০], Cauchy-Riemann integral এর একটা সহজ রূপ[২১] …”

“বলছিস যে এতকিছু, সব কি বুঝিস?” আমি বললাম।

“শেষের দুটা পুরোপুরি বুঝিনি।”

তারিক বলল, “হে হে! শান্তি পাইলাম।”

সিনান বলে যাচ্ছে, “ইবন আল-হাইসাম চোখের পরিপূর্ণ বর্ণনা দেন[২২]। স্পষ্টভাবে চোখের বিভিন্ন অংশ আলাদা করেন। স্কেরা, কর্নিয়া, করয়েড, আইরিস, রেটিনা, অপটিক নার্ভ, একুয়াস হিউমার, ভিট্রিয়াস হিউমারের ব্যাখ্যা দেন। বস্তুর প্রতিবিম্ব চোখের রেটিনায় গঠিত হওয়ার কথা বলেন। ‘lens’ শব্দটি ইবনুল হাইসামের দেওয়া অ্যারাবিক নাম ‘আদাসা’ থেকে এসেছে। কর্নিয়াও এসেছে কারনিয়া থেকে। চশমা আর ম্যাগ্নিফাইয়িং গ্লাস তৈরির পথিকৃৎ তিনিই।[২৩] বর্তমানের ‘ক্যামেরা’ শব্দটি এসেছে তাঁর দেওয়া অ্যারাবিক ‘কামারা’ থেকে। অনেক কিছু বুঝতেই না পারায় এখন সেগুলো বলতে পারলাম না। ইনশা আল্লাহ ভবিষ্যতে বুঝব। এখন পর্যন্ত ইবন আল-হাইসামের রেফারেন্স বিভিন্ন ইউরোপিয়ান ভারসিটিতে দেওয়া হয়। আর বাংলাদেশের মত মুসলিম অধ্যুষিত দেশে তার নাম লুকানো হয়। তার অপটিক্সের বই কিতাব আল-মানাযির সেই বিপ্লব তৈরি করা বই। J.F. Allen এর মতে, ১০ম শতাব্দীতে ইবন আল-হাইসামের ২০ শতাব্দীর মস্তিষ্ক ছিল।[২৪] আর দেখ, এখানে কত কিছু পরে নিউটনের নামে গিয়েছে। ক্যালকুলাস, গ্র্যাভিটি, জড়তার সূত্র। নিউটনের বিখ্যাত পরীক্ষার কথা শুনেছিস না? একটা প্রিযম দিয়ে সূর্যের আলোর সেই পরীক্ষা? এটা ইবন আল-হাইসাম আগেই করেছিলেন।[২৭]”[৩৫]

নিরাশার হাসি নিয়ে আমি বললাম, “আইজ্যাক নিউটন, স্যার বলেছিলেন — If I have seen further, it is because I stand on the shoulders of giants। যদি জানতে পারতাম এই দানবগুলো কারা!”

তারিক আমাকে আশা দিতে চাইল, “নিউটন তো ইবন আল-হাইসাম এর বই পড়েও থাকতে পারেন। তার আগের সেরা সেরা বিজ্ঞানীরাও তো পড়েছিলেন। কেপলার, দেকার্ত, কোপারনিকাস, গ্যালিলেও। আর নিউটনের লেখায় তো ইবন তুফাইলের স্পষ্ট ছাপ আছে”

“কিন্তু…”

সিনান মুচকি হেসে বলল, “নিউটন তার লাইব্রেরীতে ইবন আল-হাইসামের বই রেখেছিলেন।[২৫]”

“কী!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!! আসলে?”

“হ্যাঁ।”

মুখে স্বভাবসুলভ হাসি ফুটিয়ে বললাম, “তাহলে নিউটনের আইডিয়াগুলো গাছের ঐ আপেল থেকে পড়েনি! ইবন আল-হাইসামের বই শেলফের যে তাকে রাখা ছিল, সেখান থেকে পড়েছে!”[২৬]

Notes:

  1. Michael H. Morgan p: 97, 104; 1001 Inventions p: 56, 306; Howard R. Turner, Science in Medieval Islam: An Illustrated Introduction. (University of Texas Press, 2006) p: 197
  2. Michael H. Morgan, p: 105 (ibn al-Haytham must be considered an equal of Einstein, though largely lost to history)
  3. Bradley Steffens, Ibn Al-Haytham: First Scientist (Morgan Reynolds Publishing, 2007); 1001 Inventions p: 55; Michael H. Morgan p: 103; David C. Lindberg. “Candidates for Revolutionary Status” in The Beginnings of Western Science op. cit.
  4. 1001 Inventions p: 55
  5. Roshdi Rashed (edt), Encyclopedia of the History of Arabic Science (Routledge, 1996), vol. 2, p: 350
  6. Howard R. Turner, Science in Medieval Islam: An Illustrated Introduction p: 196
  7. Seyyed Hossain Nasr p: 129
  8. Encyclopedia of the History of Arabic Science vol. 2, p: 335
  9. Musilim Contribution to Science and Technology. p: 107
  10. Musilim Contribution to Science and Technology p: 110
  11. বিস্তারিত জানতে, Encyclopedia of the History of Arabic Science. vol. 2, p: 318, 336
  12. দেখে নিতে: সম্পাদনা পরিষদ, ইসলামী বিশ্বকোষ (ইসলামিক ফাউন্ডেশন, দ্বিতীয় সংস্করণ, জুন ২০০৪), vol. 4, p: 652
  13. ইসলামী বিশ্বকোষ vol. 4, p: 653
  14. Michael H. Morgan p: 104
  15. Howard R. Turner, Science in Medieval Islam: An Illustrated Introduction. p: 196
  16. Ehsan Masood p: 145; Michael H. Morgan p: 104
  17. The theorem is: if p is prime, then the polynomial 1+(p-1)! Is divisible by p. 1001 Inventions p: 85
  18. সূত্রটি হলো: বাহ্যিক কোন বল প্রয়োগ না করলে স্থির বস্তু স্থির থাকবে এবং গতিশীল বস্তু সুষম দ্রুতিতে সরল পথে চলতে থাকবে। Seyyed Hossain Nasr, p: 128
  19. সূত্রটি হলোযে পথে গেলে সর্বাপেক্ষা কম সময় লাগেআলো সে পথই অবলম্বন করে। Musilim Contribution to Science and Technology p: 112; ইসলামী বিশ্বকোষ vol. 4, p: 651; Arun Bala, The Dialogue of Civilizations (Palgrave Macmillan, 2006) p: 165
  20. Encyclopedia of the History of Arabic Science. vol. 2, p: 51
  21. Encyclopedia of the History of Arabic Science. vol. 2, p: 97
  22. Michael H. Morgan p: 103
  23. Musilim Contribution to Science and Technology p: 263
  24. ইসলামী বিশ্বকোষ vol. 4, p: 651
  25. 1001 Inventions p: 35
  26. মুসলিম বিজ্ঞানীদের থেকে নিউটনের নেওয়ার ব্যাপারটি জর্জ সারটনও উল্লেখ করেন (পরোক্ষভাবে): Introduction to the History of Science. Vol. 3 (1947)
  27. ইবন আল-হাইসাম এর পরীক্ষা প্র্যাক্টিকালি দেখতে চাইলে জিম আল-খালিলীর বিখ্যাত ডক্যুমেন্টারি Islam and Science দেখুন; এছাড়া দেখুন Science in A Golden Age এর optics এর পর্ব
  28. J. al-Khalili, Pathfinders loc. 3403।
  29. Kara Rogers op. cit. p: 38
  30. রাফান আহমেদ, অবিশ্বাসী কাঠগড়ায়: হুমায়ুন আজাদের ‘আমার অবিশ্বাস’ গ্রন্থের অপনোদন. (সমর্পণ প্রকাশন, ২০১৯) p: 193
  31. Robert Briffault, The Making of Humanity p: 201
  32. এখানে আরবি জ্ঞান বলতে ইসলামী জ্ঞান উদ্দেশ্য। রজার বেকন জ্ঞানের ক্ষেত্রে ইসলামকে গুরুত্ব দিলেও ধর্মের দিক থেকে ইসলামের প্রতি বিরূপ মানসিকতা ধারণ করতেন।
  33. Science in a Golden Age (AlJazeera) এর optics অংশ দেখুন। ইবন আল-হাইসামের কিছু পরীক্ষা প্র্যাক্টিকালি দেখতেও পারবেন এখানে।
  34. “Medieval Science among the Arabians” in H. S. Williams and E. H. Williams, A History of Science (Harper and Brothers, 1904)
  35. নিউটনের উপর মুসলিম বিজ্ঞানীদের প্রভাব সংক্ষেপে পড়ুনঃ Armen Firman. “The Little-Known Muslim Influence on Sir Isaac Newton’s Scientific Breakthrough” The Muslim Vibe.
  36. আরমান ফিরমান, “বুদ্ধিবৃত্তিক চৌর্যবৃত্তিঃ Muslim Ingenuity, European Theft” পর্ব ১: medium.com/@armanfirman

© Arman Firman

Post a Comment

0 Comments