আল্লামা ইকবাল এর ওয়েবসাইটে দেখতে
পেলাম বি বি রবিনসন একটি আর্টিকেলে দাবী করেছেন যে উমার খাইয়াম ইতিহাসের প্রথম
অস্তিত্ববাদী[১]। সাথে দিয়ে বস্তুবাদী নাস্তিক ছিলেন। পরবর্তীতে দেখতে পেলাম বিভিন্ন ইংরেজি
নাস্তিক ওয়েবসাইটেও তাকে নাস্তিক বলে ঘোষণা দেওয়া হচ্ছে। বাংলা নাস্তিক ওয়েবসাইটেও
বলা হচ্ছে। প্রমাণ স্বরূপ দেওয়া হচ্ছে তার কবিতার (রুবাঈ) কিছু লাইন। ফিলিপ কে
হিট্টিও আবার তাকে মুক্তমনা বলছেন![২] চলুন, তার কবিতার ইংরেজি অনুবাদ হতে কিছু
অংশ দেখে নিইঃ
The temple I frequent is high,
A Turkish-vaulted dome--the sky,
That spans the world with majesty.
Not quite a Muslim is my creed,
Nor quite a Giaour; my faith indeed
May startle some who hear me say
I'd give my pilgrim staff away
And sell my turban, for an hour
Of music in a fair one's bower.
I'd sell the rosary for wine,
Though holy names around it twine.
And prayers the pious make so long
Are turned by me to joyous song;
Or, if a prayer I should repeat,
It is at my beloved's feet.
They blame me that my words are clear;
Because I am not what I appear;
A Turkish-vaulted dome--the sky,
That spans the world with majesty.
Not quite a Muslim is my creed,
Nor quite a Giaour; my faith indeed
May startle some who hear me say
I'd give my pilgrim staff away
And sell my turban, for an hour
Of music in a fair one's bower.
I'd sell the rosary for wine,
Though holy names around it twine.
And prayers the pious make so long
Are turned by me to joyous song;
Or, if a prayer I should repeat,
It is at my beloved's feet.
They blame me that my words are clear;
Because I am not what I appear;
...
“Why, all the Saints and Sages who
discuss’d
Of the Two Worlds so wisely ‑‑ they
art thrust
Like foolish Prophets forth; their
words to Scorn
Are scattered, and their Mouths are
stopt with Dust”
…
“Oh, threats of Hell and Hopes of
Paradise!
One thing at least is certain ‑‑ This Life flies;
…
“The Revelations of Devout and Learn’d
Who rose before us, and as Prophets
burn’d,
Are all but Stories, which, awoke
from Sleep
They told their comrades, and to
Sleep return’d.”
--------------------
কবিতা সম্বন্ধে অভিজ্ঞতা না থাকায়
কোন কবিতার গূঢ়ার্থই বুঝতে পারছি না। তবে এতটুকু নিশ্চিত, যে শুধুমাত্র কবিতা দেখে
একজনের বিশ্বাসের মত শক্ত কোন জিনিস সম্বন্ধে সিদ্ধান্ত নেওয়া পাগলামি বৈ আর কিছুই
নয়[৩]। ব্যপারটি উপলব্ধি
করা খুবই সহজ, তবু যে কিছু সংখ্যাক বড়মাপের স্কলার কি বুঝে কবিতার উপর ভিত্তি করে
উমার খাইয়াম কে নিরাশাবাদী দার্শনিক, অজ্ঞেয়বাদী বানিয়ে দিচ্ছেন, তা আমার মাথায়
খেলছে না।
আসুন, কাজী নজরুল ইসলাম বিদ্রোহী কবিতার
কিছু অংশের প্রতি নজর দিইঃ
বল মহাবিশ্বের
মহাকাশ ফাড়ি’
চন্দ্র সূর্য গ্রহ তারা ছাড়ি’
ভূলোক দ্যুলোক গোলক ভেদিয়া
খোদার আসন ‘আরশ’ ছেদিয়া,
উঠিয়াছি চির-বিস্ময় আমি বিশ্ববিধাতৃর!
চন্দ্র সূর্য গ্রহ তারা ছাড়ি’
ভূলোক দ্যুলোক গোলক ভেদিয়া
খোদার আসন ‘আরশ’ ছেদিয়া,
উঠিয়াছি চির-বিস্ময় আমি বিশ্ববিধাতৃর!
...
আমি জাহান্নামের
আগুনে বসিয়া হাসি পুষ্পের হাসি!
আল্লাম ইকবাল এর কবিতা[১৩], সেখান
থেকেও ক্ষুদ্রাংশ দেখি, চলুনঃ
(আল্লাহ কে বলছেন)
Design a new pattern
Create a more perfect Adam
This making of playthings of clay
Is not worthy of God, the creator
If the pattern is poor
What does repetition achieve?
How can the cheapness of man
Meet your approval?
Create a more perfect Adam
This making of playthings of clay
Is not worthy of God, the creator
If the pattern is poor
What does repetition achieve?
How can the cheapness of man
Meet your approval?
তো, কাজী নজরুল ইসলাম কি নাস্তিক
ছিলেন? আল্লামা ইকবাল কে নাস্তিক বানিয়ে দেওয়া হবে এখন?! কবিতায় চয়নকৃত শব্দ এবং
এবং এর মর্মার্থ আলাদা হওয়াটা অস্বাভাবিক না, সম্পূর্ণ বিপরীতও হতে পারে। এর
ভিত্তিতে কারো বিশ্বাস সম্বন্ধে সিদ্ধান্তে উপনিত হওয়া কতটুকু যৌক্তিক? কাজী নজরুল
ইসলাম একই কবিতায় এক জায়গায় লেখেন, “আমি উন্মাদ! আমি উন্মাদ!” তো যারা কবিতা দেখে
উমার খাইয়াম কে নাস্তিক বলেন, তাদের তো কাজী নজরুল ইসলাম কে পাগল বলা উচিত, তাই নয়
কি?
যেসব স্কলাররা উমার খাইয়াম এর কবিতা দেখে
সিদ্ধান্ত নেন, তারা বলেন উমার খাইয়াম অজ্ঞেয়বাদী আর যারা তার প্রাবন্ধিক লেখা
দেখে সিদ্ধান্ত নেন, তারা বলেন যে উমার খাইয়াম শুধু আস্তিকই না, একজন
প্র্যাক্টিসিং সুফি মুসলিম ছিলেন! কেন? কি মনে হয়?
আসলে,
সকলে জানে যে উমার খাইয়াম কবি ছিলেন,
বিজ্ঞানী না। বাস্তবে, উমার খাইয়াম বিজ্ঞানী ছিলেন, কবি না। [৪]
উমার খাইয়াম যে নিজ জীবনকালে কবিতা
লিখেছিলেন, এর কোন সরাসরি প্রমাণ নাই।[১৪] Hans Heinrich
Schaeder নামের একজন স্কলার বলছেন যে, মধ্যযুগের ফারসি কবিদের
তালিকা হতে উমার খাইয়াম এর নাম বাদ দেওয়া উচিত। বর্তমানে ১টি বাদে কোন কবিতা নেই,
যেসব সত্যি উমার খাইয়াম লেখেছেন বলে বিশ্বাস করা যায়।[৫] উমার খাইয়াম এর সময়ের কোন
রুবাইয়াতই আজ পর্যন্ত পাওয়া যায় নি।[৬] তাহলে, উমার খাইয়াম কি কবি ছিলেন না? এ কি
কথা!
তবুও, তিনি কবি ছিলেন। তার মৃত্যুর
৫০ বছর পর ইমাদ আল-দ্বীন ইসফাহানী তাকে খুরাসানের অন্যতম কবি বলে উল্লেখ করেন।
কিন্তু তার সমসাময়িক স্কলারদের হিসাবকৃত কবিতার সংখ্যা সর্বোচ্চ ৬টি। ৬ থেকে লাফ
মেরে সংখ্যা কিভাবে ১২০০ হল, সেটা হচ্ছে প্রশ্ন।[৭] সবচেয়ে বিখ্যাত পাণ্ডুলিপি
অক্সফোর্ডের বোডলেইন লাইব্রেরীর টি তে রুবাই এর সংখ্যা ১৫৮। অনেক কষাকষি করার পর বোঝা যাচ্ছে যে এখানে মহাকবি
হাফিয, আত্তার, দার্শনিক ইবন সিনা, আবু হামিদ আল-গাযালী এবং আরও অনেকের কবিতা
রয়েছে।[৪] দিওয়ান সচরাচর বহুকাল অবিকৃত থাকে, কিন্তু রুবাঈ পরিবর্তিত হয়ে যাওয়ার
আশংকা অনেক বেশি[৪]।
এ ব্যপারে সবচেয়ে বেশি কাজ করেছেন
ক্রিস্টেনসেন। তিনি ১২১টি কবিতাকে উমার খাইয়াম এর রচিত বলে ঘোষিত করেন। কিন্তু
তিনি প্রথম শ্রেণীতে রাখা ১২ টি কবিতার সত্যতার গ্যারেন্টি পর্যন্ত দিতে পারছেন
না! এসব কবিতা ঐ সময়ের পারস্য ভাবধারা ও উমার খাইয়াম এর চিন্তাধারার সাথে মিল রেখে
নির্ধারণ করা হয়েছে। যদিও ঐ সময়ের পারস্য ভাবধারা আর উমারের চিন্তাধারা – দুটির
ব্যপারেই স্কলারদের মাঝে মতবিরোধ আছে! পরবর্তীতে ক্রিস্টেনসেন নিজেই বলেন যে
রুবাঈগুলো যে খাইয়ামের, তা প্রমাণ করা অসম্ভব কাজ।[৪] ক্রিস্টেনসেনের সংগ্রহ কে
শুধুই একটি বিশেষ কাব্যধারার একত্রীভূত নাম হিসেবে বুঝতে হবে।
বেশিরভাগ স্কলার উমার খাইয়াম এর
কবিতা দেখেই তাকে নিরাশাবাদী দার্শনিক ও অজ্ঞেয়বাদী বানিয়ে দিচ্ছেন। কিন্তু এটি
খুবই ভুল। সমস্যাটি হয়েছে প্রাবন্ধিক লেখা না দেখে শুধু কবিতা নিয়ে গবেষণার
কারণেই। এটিও হয়েছে কবিতাগুলো অত্যন্ত জনপ্রিয় হওয়ার কারণে। ক্রিস্টোফার হিচেন্সও
দেখলাম, তাকে নব্য নাস্তিক্যবাদের (New Athesim) এর অনুসারী বানিয়ে ছেড়েছে!
তো কবিতা দেখে তো আমাদের আর কোন কাজ
নেই, আসুন প্রাবন্ধিক পর্যালোচনায়। তবে তার আগে বলে নিচ্ছি, বার্লিনে সত্যি উমার
খাইয়ামের নামে অস্তিত্ববাদ সংক্রান্ত একটি পাণ্ডুলিপি আছে। আবার, নাজমুদ্দীন
আল-দায়া নামের এক ইতিহাসবিদ উমারের মৃত্যুর ১০০ বছর পরে লিখেছেন যে উমার একজন
নিরাশাবাদী দার্শনিক, বস্তুবাদী ও নাস্তিক ছিলেন। কিন্তু পরবর্তী ব্যাখ্যায় আশা
করা যায় যে এসবের কোন মূল্য থাকবে না।
উমার খাইয়াম নিজেই লিখেন, “...এটিই
(সুফিবাদ) সর্বোত্তম পন্থা কারণ আল্লাহর কোনরূপ উৎকর্ষ এর থেকে দূরে নেই। আর এর
সামনে কোন বাধা বা পর্দাও নেই। সুতরাং যা-ই (অজ্ঞতা) মানুষের কাছে আসে তা তার
প্রকৃতির অবিশুদ্ধতার জন্য। যদি পর্দা উঠিয়ে নেওয়া হয় এবং বাধা সরিয়ে দেওয়া হয়,
তাহলে সত্য যেমন আছে তেমন দৃষ্টিগোচর হয়ে উঠবে। আর উস্তাদ (নবী মুহাম্মাদ), যার উপর বর্ষিত হোক
শান্তি, এটিই ইঙ্গিত করেন যখন তিনি বলেন, ‘সত্যি, তোমার অস্তিত্বের দিনগুলোতে থাকা
অবস্থায় উৎসাহ আসে আল্লাহ হতে, তুমি কি তা অনুসরণ করতে চাও না?’
যুক্তিবাদীদের বলে দাও যে, তাদের
জন্য, যারা আল্লাহ কে ভালোবাসে (মা’রিফাহ এর খোজে থাকা মানুষ বা সুফি), অন্তরজ্ঞান
হচ্ছে পথপ্রদর্শক, অপ্রাসঙ্গিক ভাবনা না”[৮]
ইতিহাসবিদ ইবন আল-কিফতী লিখেন, উমার
খাইয়াম এক সময় বিশ্বাসের ব্যপারে দ্বিধাগ্রস্ত ছিলেন কিন্তু পরবর্তীতে খাঁটি
মুসলিমে পরিণত হন, হজ্জে যান এবং ফিরে আসার পর সকাল সন্ধ্যা মসজিদে গমন করতেন[৯]। শামস তাব্রিয
(জালালুদ্দ্বিন রুমীর স্পিরিচুয়াল গাইড) এবং আরও কিছু সংখ্যক সুফী উমার খাইয়াম কে
পছন্দ করতেন না। এটা অস্বাভাবিক না, ইবন সিনাকেও তার জীবদ্দশায় কাফির হওয়ার অভিযোগ
দেওয়া হয়েছিল। এমনকি হাদিস স্কলার ইবন হিব্বান কে পর্যন্ত নাস্তিক বলে শহর থেকে
বিতাড়িত করা হয়েছিল। উমার খাইয়াম নিজের বিশ্বাস প্রমাণের জন্যই হজ্জ করতে যান।[১০]
উমারের জীবনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে
গুরুত্বপূর্ণ পুস্তক আবু’ল হাসান আলী আল-বায়হাকীর[৪]। তিনি উমার খাইয়াম এর মৃত্যুর বর্ণনা দেন এভাবে,
“...তিনি যূহরের সালাত আদায় করলেন। ঈশার সালাত পর্যন্ত কিছুই খেলেন না। তিনি
সিজদায় অবনত হলেন এবং বললেন, ‘ইয়া আল্লাহ, আমি তোমায় ততটুকু জানি যতটুকু আমার
ক্ষমতা আমায় সুযোগ দেয়, মাফ করে দাও আমায় কারণ আমি জানি, তোমার (দেখানো) পথ-ই
তোমার প্রতি পথ’ ”[১০]
শাহরাযূরীর বর্ণনাও প্রায় একই রকম।
সেখানে তিনি উল্লেখ করেন, উমার খাইয়াম সিজদারত অবস্থায় তার সত্য-সন্ধানী সময়কালে
কৃত পাপ এর জন্য মাফ চান এবং সে অবস্থায়ই ইহকাল ত্যাগ করেন।[১১]
তো এখানে আমরা উমার খাইয়াম এর
প্রাবন্ধিক লেখা ও তার সমসাময়িক ইতিহাসবিদদের থেকে পর্যালোচনা করে যথেষ্ট স্পষ্টতার
সাথে বুঝতে পারছি, যে তিনি কোনভাবেই নাস্তিক ছিলেন না, এমন কি অজ্ঞেয়বাদীও ছিলেন
না। বর্তমান সময়ের স্কলারদের মাঝে অবশ্য এ
নিয়ে এখনও তুমুল বিতর্ক রয়েছে এবং একাডেমিয়াতে এই প্রশ্ন এখনও অনেকটা খোলা। তবে
আশা করি, উপরোক্ত ব্যাখ্যা হতে কারো আর এমন সন্দেহ থাকবে না যে উমার খাইয়াম মুসলিম
ব্যাতিত অন্যকিছু ছিলেন।[১২]
Notes:
1. Existentialist: যারা দাবী করে যে আমাদের অস্তিত্ব আগে এবং
উদ্দেশ্য পরে। সহজ ভাষায় এরা বলে যে আমাদের জীবনের কোন উদ্দেশ্য নেই; পরবর্তীতে
আমরা নিজেরাই নিজেদের উদ্দেশ্য ও জীবনের অর্থ সেট করে নিই। সাধারণত অস্তিত্ববাদীরা
নাস্তিক হয়, তবে আস্তিক অস্তিত্ববাদীও রয়েছেন, যেমন কির্কেগার্ড। আস্তিক
অস্তিত্ববাদীরা দাবী করে যে ঈশ্বর আমাদের কোনরূপ উদ্দেশ্য ব্যতিরেকেই সৃষ্টি
করেছেন।
2.
Phillip K. Hitti, History of the Arabs (MacMillan Education Ltd, Tenth Edition, 1970)
p: 377
3.
Seyyed Hossain Nasr, Science and Civilization in Islam (ABC
International Group, Inc. 2001) p: 33
4.
সম্পাদনা পরিষদ, ইসলামী
বিশ্বকোষ (ইসলামিক ফাউন্ডেশন, দ্বিতীয়
সংস্করণ, জুন ২০০৪) খণ্ডঃ ৬, পৃষ্ঠাঃ ১৯৫ – ২০১
5.
Francois De Blois , Persian Literature - A
Bio-Bibliographical Survey: Poetry of the Pre-Mongol Period (2004), p. 307
7.
পৃথিবীর যেসব
লাইব্রেরীতে উমার খাইয়াম নামে থাকা রুবাইয়াত পাওয়া গিয়েছে, তা মিলিয়ে Jessie E. Cadell হিসাবটি করেছেন।
8.
Seyyed Hossain Nasr, Science and Civilization in Islam (ABC
International Group, Inc. 2001) p: 34
9.
Ross, E. (1898). Al-Musaffariyé: Containing a
Recent Contribution to the Study of 'Omar Khayyam. Journal of
the Royal Asiatic Society of Great Britain and Ireland, 349-366.
10.
S. H. Nasr and M. Aminrazavi (edt)
An Anthology of Philosophy in Persia (I.B. Tauris publishers, 2008) vol. 1, p: 474;
Meyerhof, M. (1948). 'Ali al-Bayhaqi’s Tatimmat Siwan al-Hikma: A
Biographical Work on Learned Men of the Islam. Osiris, 8, 122-217.
11.
সম্পাদনা পরিষদ, ইসলামী
বিশ্বকোষ (ইসলামিক ফাউন্ডেশন, দ্বিতীয়
সংস্করণ, জুন ২০০৪) খণ্ডঃ ৬, পৃষ্ঠাঃ ২০৯
12.
বিতর্কের খাতিরে
যদি ধরেও নিই যে উমার খাইয়াম মুসলিম ছিলেন না, তবুও কিছুই যায় আসে না। তার কাজের
পিছনে ক্রেডিট শেষ পর্যন্ত ইসলামই পায়। পড়ুনঃ মুসলিম বিজ্ঞানীদের ধর্মবিশ্বাস কিরকম ছিল?
13.
K.G. Saiyidain, 1938, Iqbal’s Educational Philosophy
0 Comments