বুদ্ধিবৃত্তিক চৌর্যবৃত্তি ৯

এর আগে ইবন সিনার ভূবিজ্ঞান নিয়ে একটা পর্ব হয়েছে।[i] এবারো আমরা ইবন সিনার মূল এক্সপারটিজঃ মেডিসিন আর ফিলসফিতে যাবো না। কথা হবে তার ফিজিক্স নিয়ে।

তখন মুসলিম বিশ্বে গতির দুইটা থিওরি ছিলঃ একটা অ্যারিস্টটলের, আরেকটা জন ফিলোপোনাস এর।[ii] ইবন সিনা জন ফিলোপোনাসের টা গ্রহণ করেন আর তা ডেভেলাপ করেন।

জন বুরিদানের ইমপিটাস থিওরিঃ কোন বস্তুকে কেউ বল দ্বারা চলমান করলে সে বল প্রয়োগ না করতে থাকলেও একটা বল বস্তুটিকে চলমান রাখে যতক্ষণ না অন্য কোন কিছু তাকে বাধা দেয়।[iii]

ইমপিটাস থিওরি হল নিউটনের ল অফ ইনারশিয়া মানে তার গতির সূত্রের প্রথমটার পূর্বরূপ। এটা গ্যালিলিওর উপর গভির প্রভাব ফেলে।[iv] যার ফলে নিউটন শেষে তার সূত্র বের করতে সক্ষম হন। তাই এটা গুরুত্বপূর্ণ।

ইবন সিনারটা বরং নিউটনের টার আরও কাছাকাছি, তবে ফিগারিটিভলি ইনারশিয়া আর ইম্পিটাসের মধ্যে এমনিতেও তেমন পার্থক্য নাই আসলে।

ইবন সিনা দেখিয়েছেলিন যে চলমান বস্তুর ভর যত বেশি হবে, তাকে থামানোও তত কঠিন হবে। জন বুরিদানের মধ্যেও এটা পাওয়া যায়। দ্রষ্টব্য, এর সাথে নিউটনের গতির দ্বিতীয় সূত্রের কিছুটা মিল আছে।[v] এখানে বড় কথা, সূত্র গুলো প্রমাণে জন বুরিদান যে স্টাইল অ্যাপ্লাই করেছেন, ইবন সিনারটার সাথে তা মিলে।

জন বুরিদান যে ইবন সিনা থেকে অ্যাট্রিবিউশান ছাড়া নিয়েছিলেন, তা প্রায় পুরোপুরি প্রতিষ্ঠিত।[vi] কিছু প্রশ্ন থাকে যে, শিফা, যেখানে ইবন সিনা ল অফ ইনারশিয়া নিয়ে লিখেছিলেন, সেটা ল্যাটিনে অনূদিত হয়েছিল কিনা। গতিবিদ্যা নিয়ে ইবন সিনার ধারণার কথা অ্যালবার্ট দা গ্রেট উল্লেখ করেছেন,[vii] যিনি ১৩শ শতকের। জন বুরিদান ১৪শ শতকের। তাই এটা সে সন্দেহ দূর করে দেয়। তাছাড়া কিতাব আল-নাজাত এর মধ্যেও ইবন সিনা এ ব্যাপারে লিখেছেন, যা সে সময়ে অনূদিত হয়ে গিয়েছিল।[viii] আর যদি প্রশ্ন করা হয় যে জন বুরিদান ইবন সিনার কাজের সাথে পরিচিত ছিলেন কিনা; তিনি আল-কিন্দি, আল-বিত্রুজীদের[ix]নাম নিয়েছেন (অন্য ব্যাপারে)। ইবন সিনার এই কাজের সাথে না পরিচিত থাকার প্রশ্ন একবারেই ফাকা।

References

[i] https://tinyurl.com/intellectualtheft5

[ii] Jon McGinnis. “A Penetrating Question in the History of Ideas: Space, Dimensionality, and Interpretation in the Thought of Ibn Sina” Arabic Sciences and Philosophy, vol. 16 (2006) pp. 47–69.

[iii] Jorge J. E. Gracia and Timothy B. Noone, A Companion to Philosophy in the Middle Ages (Blackwell Publishing, 2002) p. 345.

[iv] Aydin Sayili. “Ibn Sina and Buridan on the Motion the Projectile”. Annals of the New York Academy of Sciences500 (1): 477–482.

[v] Marshal Claget, The Science of Mechanics in the Middle Ages (Madison: University of Wisconsin Press, 1959) pp. 505–25 and 532–40. as cited in Aydin Sayili op. cit.

[vi] Aydin Sayili op. cit.

[vii] E. A. Moody. “Galileo and Avempace” Journal for the History of Ideas.12:377.

[viii] S. E. al-Djazairi, The Hidden Debt to Islamic Civilization (MSBN Books, 2018)

[ix] Ibid. 

Post a Comment

0 Comments